তিন তিনটি বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর মাতানো ব্রাজিল দলের তারকা ফুটবলার পেলে’ ৮২ বছর বয়সে কলোন ক্যান্সারে মারা গেছেন। আমরা তাঁর পরিবার ও দেশের ভক্তকুলের কাছে শোক জ্ঞাপন করি।
ছোটবেলায় ফুটবল জগতে পেলে’র যশ ও খ্যাতি সম্পর্কে আমি শুনেছিলাম, কিন্তু খেলা দেখা হয়নি। কেননা তাঁর সময়ে (১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে) তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের সরাসরি টিভি সম্প্রচার সম্ভব হয়নি। শুনেছি ১৯৭০ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপ সরাসরি টিভিতে সম্প্রচার হয়েছিলো, তবে সেসব দেশের সংখ্যা ছিলো সীমিত। অতএব, পেলে’র নৈপুণ্য কিছু ভিডিও ফুটেজ ছাড়া কোথাও সংরক্ষিত হয়নি। তাছাড়া, যাঁরা স্বচক্ষে দেখেছেন, তাঁরাও বেশির ভাগ এখন পরলোকে।
জ্ঞানবিমুখ দাবি
এবারের বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন সময়ে ফেইসবুকে আমাদের দেশের কিছু জ্ঞানবিমুখ ফেইসবুকার দাবি করেন যে ব্রাজিল দল মাত্র দু বার বিশ্বকাপ জয় করেছেন (১৯৯৪ ও ২০০২)। পেলে’র আমলে তিনবার জয় নাকি বিশ্বকাপ নয়! কী মূর্খতাপ্রসূত বক্তব্য! বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থা ফিফা কি এ কথা কোথাও ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা ১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপের আয়োজন করেননি? আমরা এসব মূর্খকে বলছি, ফিফা’কে বলুন এমর্মে একটি ঘোষণা দিতে যে পূর্ববর্তী বিশ্বকাপের আসরগুলো বিশ্বকাপ ছিলো না! ফিফা যদি এ কথা স্বীকার করে নেন, তাহলে আপনাদের মুখ রক্ষা হবে; নতুবা এ ভুয়া দাবির কারণে আপনাদের মুখে চুনকালি! [বি.দ্র. এ দাবি বিদেশে ওঠেনি, স্রেফ বাংলাদেশে]
সিরিয়াস বিষয়েও অনুরূপ জ্ঞানবিমুখতা
এবার খেলার প্রসঙ্গ ছেড়ে মানব জীবনের সিরিয়াস একটি বিষয় তথা আমাদের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আলোচনা করবো। আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মের একটি অংশের মাঝে ধর্মবিষয়েও অনুরূপ জ্ঞানবিমুখ দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজমান। এটা এক শ্রেণির বদ-মাযহাব তথা অসৎ গোষ্ঠীভুক্ত মওলভী কর্তৃক উস্কে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মতে পূর্ববর্তী যুগ হতে বা চৌদ্দ শ বছর ধরে আগত সমস্ত সত্যপন্থী সুন্নী ইমাম-আলেম-উলামা কিছু জানতেন না, জানে কেবল ডিজিটাল ও গুগল/ফেইসবুকে শিক্ষিত বিজ্ঞ-পণ্ডিতবর্গ! অথচ পূর্ববর্তী যুগের যাহেরী ও বাতেনী ইলমের জ্ঞান-বিশারদবৃন্দের সামনে আমরা কোথায়? তাঁদের তত্ত্বজ্ঞান সাধনার মোকাবিলায় খুঁজেও পাওয়া যাবে না আজকের কাউকেই! তাঁদের সেসব সাধনা প্রত্যক্ষ করা হয়নি, ভিডিও’তে ধারণ করা হয়নি বলে সেগুলোকে খাটো করা আরো বড় একটা জ্ঞানবিমুখতার নজির বলে আমার মনে হয়েছে!
সমাপ্ত
ছোটবেলায় ফুটবল জগতে পেলে’র যশ ও খ্যাতি সম্পর্কে আমি শুনেছিলাম, কিন্তু খেলা দেখা হয়নি। কেননা তাঁর সময়ে (১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে) তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের সরাসরি টিভি সম্প্রচার সম্ভব হয়নি। শুনেছি ১৯৭০ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপ সরাসরি টিভিতে সম্প্রচার হয়েছিলো, তবে সেসব দেশের সংখ্যা ছিলো সীমিত। অতএব, পেলে’র নৈপুণ্য কিছু ভিডিও ফুটেজ ছাড়া কোথাও সংরক্ষিত হয়নি। তাছাড়া, যাঁরা স্বচক্ষে দেখেছেন, তাঁরাও বেশির ভাগ এখন পরলোকে।
জ্ঞানবিমুখ দাবি
এবারের বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন সময়ে ফেইসবুকে আমাদের দেশের কিছু জ্ঞানবিমুখ ফেইসবুকার দাবি করেন যে ব্রাজিল দল মাত্র দু বার বিশ্বকাপ জয় করেছেন (১৯৯৪ ও ২০০২)। পেলে’র আমলে তিনবার জয় নাকি বিশ্বকাপ নয়! কী মূর্খতাপ্রসূত বক্তব্য! বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থা ফিফা কি এ কথা কোথাও ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা ১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপের আয়োজন করেননি? আমরা এসব মূর্খকে বলছি, ফিফা’কে বলুন এমর্মে একটি ঘোষণা দিতে যে পূর্ববর্তী বিশ্বকাপের আসরগুলো বিশ্বকাপ ছিলো না! ফিফা যদি এ কথা স্বীকার করে নেন, তাহলে আপনাদের মুখ রক্ষা হবে; নতুবা এ ভুয়া দাবির কারণে আপনাদের মুখে চুনকালি! [বি.দ্র. এ দাবি বিদেশে ওঠেনি, স্রেফ বাংলাদেশে]
সিরিয়াস বিষয়েও অনুরূপ জ্ঞানবিমুখতা
এবার খেলার প্রসঙ্গ ছেড়ে মানব জীবনের সিরিয়াস একটি বিষয় তথা আমাদের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আলোচনা করবো। আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মের একটি অংশের মাঝে ধর্মবিষয়েও অনুরূপ জ্ঞানবিমুখ দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজমান। এটা এক শ্রেণির বদ-মাযহাব তথা অসৎ গোষ্ঠীভুক্ত মওলভী কর্তৃক উস্কে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মতে পূর্ববর্তী যুগ হতে বা চৌদ্দ শ বছর ধরে আগত সমস্ত সত্যপন্থী সুন্নী ইমাম-আলেম-উলামা কিছু জানতেন না, জানে কেবল ডিজিটাল ও গুগল/ফেইসবুকে শিক্ষিত বিজ্ঞ-পণ্ডিতবর্গ! অথচ পূর্ববর্তী যুগের যাহেরী ও বাতেনী ইলমের জ্ঞান-বিশারদবৃন্দের সামনে আমরা কোথায়? তাঁদের তত্ত্বজ্ঞান সাধনার মোকাবিলায় খুঁজেও পাওয়া যাবে না আজকের কাউকেই! তাঁদের সেসব সাধনা প্রত্যক্ষ করা হয়নি, ভিডিও’তে ধারণ করা হয়নি বলে সেগুলোকে খাটো করা আরো বড় একটা জ্ঞানবিমুখতার নজির বলে আমার মনে হয়েছে!
সমাপ্ত