ভণ্ডরা সূফীবৃন্দের কথাবার্তা চুরি করে নিজেদের বলে চালিয়ে দেয়; আর এর ফলে তারা মানূষদেরকে সে সব সুন্দর শিক্ষাসমূহ দ্বারা ধোকা দেয়, যেগুলোর তারা অনুকরণকারীমাত্র। যে বিষয় সম্পর্কে তারা কথা বলে, সে ব্যাপারে কোনো প্রকৃত জ্ঞানই তাদের নেই। মহান সূফী মাশায়েখবৃন্দের অনেকেই প্রতারক ভণ্ডদের কথা উল্লেখ করেছেন - এ সব লোকেরা ‘সূফী’ খেতাবটি গ্রহণ করে, কেননা তা তাদেরকে বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা এনে দেয়; আর তারা সে সব মানুষের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নেয় যারা প্রকৃত সূফীবাদী সিদ্ধপুরুষ ও ভণ্ড লোকের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে অক্ষম।
আল্লাহওয়ালা কোনো সিদ্ধপুরুষের দ্বারা প্রশিক্ষিত শিষ্যের আত্মা নির্মল ও পরিশুদ্ধ হয়। কিন্তু কোনো ভণ্ড ও কপট লোক দ্বারা প্রশিক্ষিত শিষ্য, যে নাকি ওই ভণ্ডের থিওরী শিখেছে, সে কেবল তার গুরুর মতোই হবে: ঘৃণ্য, দুর্বল, অক্ষম, গোমড়া-খিটখিটে স্বভাবের, অনিশ্চয়তা থেকে কখনোই মুক্ত নয়, এবং তার সকল ইন্দ্রিয়ে সে ঘাটতিপূর্ণ। ...“এবং কাফেরদের সাহায্যকারী হচ্ছে তাগুত (শয়তান, উপাস্য মূর্তি), যারা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে টেনে নিয়ে যায়” (সূরা বাকারা, ২৫৭ আয়াত)। [”ফীহি মা ফীহি” হতে সংকলিত; ডব্লিউ, সি, চিত্তিক কর্তৃক ‘দ্য সূফী পাথ অফ লাভ: দ্য স্পিরিচুয়াল টিচিংস অফ জালালউদ্দীন রূমী’ ১৪৫ পৃষ্ঠায় অনূদিত]
উপরন্তু, ভণ্ড ও তাদের ক্ষতি সম্পর্কে কবিতায় মওলানা রূমী (রহ:) বলেন: “তুমি হলে এমন একজনের শিষ্য ও অতিথি, যে ভণ্ড লোক তার জঘন্যতায় তোমার সমস্ত অর্জনকে চুরি করে নেবে। সে তো বিজয়ী (সফল) নয়, সে কীভাবে তোমাকে সাফল্যমণ্ডিত করবে? সে তোমায় আলোর দিশে দেবে না, বরং অন্ধকারাচ্ছন্ন করবে। তার যেহেতু কোনো আলো নেই, এমতাবস্থায় তার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অন্যরা কীভাবে আলোর দিশে পেতে পারে? চোখের নিরাময়-প্রত্যাশী অন্ধের মতো সে তোমার চোখে পশম ছাড়া আর কী-ই বা দিতে পারবে? আল্লাহতা’লার সুঘ্রাণ বা খোঁজ ওই ভণ্ডের কাছে নেই, কিন্তু তার দাবিগুলো শীষ (আ:) বা আদম (আ:)-এর চেয়েও বড়। শয়তান স্বয়ং তার সামনে আসতে বিব্রত; ওই ভণ্ডরা বারংবার বলে, ‘আমরাই সূফী-দরবেশ, বরং তার চেয়েও বড়।’ দরবেশবৃন্দের অনেক বাণী ভণ্ড লোকটি চুরি করে থাকে, যার দরুণ মানুষেরা হয়তো ভাবে সে আসলেই কেউ একজন। তার কথাবার্তায় সে অকারণে এমন কি হযরত বায়েযীদ বোস্তামী (রহ:)-এর খুঁতও ধরতে চায়; দুরাচারী এয়াযীদও তার সামনে শরমিন্দা হয়। কিন্তু ওই ভণ্ড বেহেস্তের রুটি ও খাদ্যসম্ভার হতে বঞ্চিত, দুঃস্থ; আল্লাহতা’লা তাকে একটি হাড়-ও ছুঁড়ে দেন নি (কুকুরের সামনে যেমনি খাবার ছোঁড়া হয়)।” [মওলানা রূমী (রহ:) প্রণীত ‘মসনবী শরীফ’, ১ম খণ্ড, পংক্তি ২২৬৫-৬৮, ৭২-৭৬, প্রাগুক্ত ‘দ্য সূফী পাথ অফ লাভ: দ্য স্পিরিচুয়াল টিচিংস অফ জালালউদ্দীন রূমী’, ১৪৫-৬ পৃষ্ঠা]
অতএব, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মওলানা জালালউদ্দীন রূমী (রহ:)-এর মতো মহান শায়খ (পীর)-ও ভণ্ডদের ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক করেছেন। অতীতের চেয়ে বর্তমানকালে ভণ্ডদের দৌরাত্ম্য বেশি। তাই শরীয়ত-মান্যকারী প্রকৃত সূফী-দরবেশবৃন্দকে শরীয়ত অমান্যকারী ভণ্ডদের কাছ থেকে পৃথকভাবে আমাদের চিনতে শিখতে হবে।
আল্লাহওয়ালা কোনো সিদ্ধপুরুষের দ্বারা প্রশিক্ষিত শিষ্যের আত্মা নির্মল ও পরিশুদ্ধ হয়। কিন্তু কোনো ভণ্ড ও কপট লোক দ্বারা প্রশিক্ষিত শিষ্য, যে নাকি ওই ভণ্ডের থিওরী শিখেছে, সে কেবল তার গুরুর মতোই হবে: ঘৃণ্য, দুর্বল, অক্ষম, গোমড়া-খিটখিটে স্বভাবের, অনিশ্চয়তা থেকে কখনোই মুক্ত নয়, এবং তার সকল ইন্দ্রিয়ে সে ঘাটতিপূর্ণ। ...“এবং কাফেরদের সাহায্যকারী হচ্ছে তাগুত (শয়তান, উপাস্য মূর্তি), যারা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে টেনে নিয়ে যায়” (সূরা বাকারা, ২৫৭ আয়াত)। [”ফীহি মা ফীহি” হতে সংকলিত; ডব্লিউ, সি, চিত্তিক কর্তৃক ‘দ্য সূফী পাথ অফ লাভ: দ্য স্পিরিচুয়াল টিচিংস অফ জালালউদ্দীন রূমী’ ১৪৫ পৃষ্ঠায় অনূদিত]
উপরন্তু, ভণ্ড ও তাদের ক্ষতি সম্পর্কে কবিতায় মওলানা রূমী (রহ:) বলেন: “তুমি হলে এমন একজনের শিষ্য ও অতিথি, যে ভণ্ড লোক তার জঘন্যতায় তোমার সমস্ত অর্জনকে চুরি করে নেবে। সে তো বিজয়ী (সফল) নয়, সে কীভাবে তোমাকে সাফল্যমণ্ডিত করবে? সে তোমায় আলোর দিশে দেবে না, বরং অন্ধকারাচ্ছন্ন করবে। তার যেহেতু কোনো আলো নেই, এমতাবস্থায় তার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অন্যরা কীভাবে আলোর দিশে পেতে পারে? চোখের নিরাময়-প্রত্যাশী অন্ধের মতো সে তোমার চোখে পশম ছাড়া আর কী-ই বা দিতে পারবে? আল্লাহতা’লার সুঘ্রাণ বা খোঁজ ওই ভণ্ডের কাছে নেই, কিন্তু তার দাবিগুলো শীষ (আ:) বা আদম (আ:)-এর চেয়েও বড়। শয়তান স্বয়ং তার সামনে আসতে বিব্রত; ওই ভণ্ডরা বারংবার বলে, ‘আমরাই সূফী-দরবেশ, বরং তার চেয়েও বড়।’ দরবেশবৃন্দের অনেক বাণী ভণ্ড লোকটি চুরি করে থাকে, যার দরুণ মানুষেরা হয়তো ভাবে সে আসলেই কেউ একজন। তার কথাবার্তায় সে অকারণে এমন কি হযরত বায়েযীদ বোস্তামী (রহ:)-এর খুঁতও ধরতে চায়; দুরাচারী এয়াযীদও তার সামনে শরমিন্দা হয়। কিন্তু ওই ভণ্ড বেহেস্তের রুটি ও খাদ্যসম্ভার হতে বঞ্চিত, দুঃস্থ; আল্লাহতা’লা তাকে একটি হাড়-ও ছুঁড়ে দেন নি (কুকুরের সামনে যেমনি খাবার ছোঁড়া হয়)।” [মওলানা রূমী (রহ:) প্রণীত ‘মসনবী শরীফ’, ১ম খণ্ড, পংক্তি ২২৬৫-৬৮, ৭২-৭৬, প্রাগুক্ত ‘দ্য সূফী পাথ অফ লাভ: দ্য স্পিরিচুয়াল টিচিংস অফ জালালউদ্দীন রূমী’, ১৪৫-৬ পৃষ্ঠা]
অতএব, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মওলানা জালালউদ্দীন রূমী (রহ:)-এর মতো মহান শায়খ (পীর)-ও ভণ্ডদের ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক করেছেন। অতীতের চেয়ে বর্তমানকালে ভণ্ডদের দৌরাত্ম্য বেশি। তাই শরীয়ত-মান্যকারী প্রকৃত সূফী-দরবেশবৃন্দকে শরীয়ত অমান্যকারী ভণ্ডদের কাছ থেকে পৃথকভাবে আমাদের চিনতে শিখতে হবে।