- কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
হায় রে মুসলমান! কিছু মুসলমান কুরআন পড়েন, কিন্তু চিন্তা করেন না। অথচ আল্লাহ আমাদেরকে এ ব্যাপারে চিন্তাশীল হতে বলেছেন। আসুন, এ রকম একটি বিষয়ে আলোকপাত করা যাক। কুরআন মজীদে বলা হয়েছে, “কুল্লু নাফসিন যা’য়েকাতুল মওত”; অর্থাৎ, সকল নফস তথা প্রাণী-সত্তা মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। এখানে তো আল্লাহ বলেন নি, “কুল্লু রুহিন যা’য়েকাতুল মওত” - সকল রূহ তথা আত্মা মুত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবেন। ইসলামী দলিল-আদিল্লার কোথাও এ ধরনের কথা নেই। আর আমরা সহীহ আকীদাপন্থীরা এটাই দাবি করছি যে আম্বিয়া (আ:), সিদ্দিকীন (রহ:), শুহাদা (রহ:) এবং সোয়ালেহীন (রহ:)-বৃন্দ রূহানী তথা আত্মিকভাবে জীবিত। তাছাড়া, মহানবী (দ:) আদেশ দিয়েছেন, ”মুতূ কাবলা আন তামুতু” - “তোমাদের (নফসের) মৃত্যুর আগে মৃত্যু বরণ করো!” বুযূর্গানে দ্বীনের যে রূহানী মৃত্যু নেই, তার প্রমাণ হলো সূরা বাকারার ১৫৪ নং আয়াত; এরশাদ হয়েছে, “আল্লাহর রাস্তায় (জ্বেহাদে) যারা কোরবানি হয়ে গিয়েছেন, তাঁদেরকে তোমরা ’মৃত’ বলো না, বরঞ্চ তাঁরা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে অক্ষম।” লক্ষ্য করুন, আল্লাহর রাস্তায় জ্বেহাদ ২ প্রকার: ১/ জ্বেহাদে আসগর বা ছোট জ্বেহাদ যা দ্বীনের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে করা হয়; এবং ২/ জ্বেহাদে আকবর, যা নিজের নফসের বিরুদ্ধে করতে হয়। মহানবী (দ:) কোনো এক জ্বেহাদশেষে ফিরে এসে এ প্রসঙ্গে বলেন, ”ছোট জ্বেহাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করলাম বড় জ্বেহাদের দিকে।” বুযূর্গানে দ্বীন তাঁদের সারা জীবন এই বড় জ্বেহাদে অংশগ্রহণ করে থাকেন। তাই তাঁরাও শহীদানের মতোই এই আয়াতের বিষয়বস্তু হন। এখন দেখুন, আল্লাহ নিষেধ করছেন তাঁদেরকে ‘মৃত’ বলতে, যেমনিভাবে নিষেধ করা হয়েছে হারাম সংঘটন, ঘুষ গ্রহণ, সুদ লেন-দেন, অপরের জান-মাল হরণ ইত্যাদি। অথচ কী আশ্চর্য! কিছু মুসলমান আল্লাহর এই নিষেধাজ্ঞা না মেনে ওই সকল বুযূর্গকে বলছেন ‘মৃত’। আলোচ্য আয়াতে করীমায় আল্লাহ এর গুরুত্ব বোঝাতে আরও যোগ করেন ”বরঞ্চ (বাল) তাঁরা জীবিত (অর্থাৎ, তাঁরা আসলেই জীবিত), কিন্তু (লাকিন) তোমরা তা উপলব্ধি করতে অক্ষম।” এই যে তিনি জোর তাকিদ দিতে ‘বরঞ্চ’ ও ‘কিন্তু’ শব্দগুলো ব্যবহার করলেন, এরই মধ্যে তাঁর ভেদের রহস্য নিহিত রয়েছে। তিনি কী সত্য বলেছেন - ‘তোমরা তা উপলব্ধি করতে অক্ষম’! আমরা মোমেন মুসলমান সমাজ এটা উপলব্ধি না করতে পারলেও এতে বিশ্বাস করি। যারা বিশ্বাস করবে না, তারা ঈমানদার হিসেবে আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না।
হায় রে মুসলমান! কিছু মুসলমান কুরআন পড়েন, কিন্তু চিন্তা করেন না। অথচ আল্লাহ আমাদেরকে এ ব্যাপারে চিন্তাশীল হতে বলেছেন। আসুন, এ রকম একটি বিষয়ে আলোকপাত করা যাক। কুরআন মজীদে বলা হয়েছে, “কুল্লু নাফসিন যা’য়েকাতুল মওত”; অর্থাৎ, সকল নফস তথা প্রাণী-সত্তা মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। এখানে তো আল্লাহ বলেন নি, “কুল্লু রুহিন যা’য়েকাতুল মওত” - সকল রূহ তথা আত্মা মুত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবেন। ইসলামী দলিল-আদিল্লার কোথাও এ ধরনের কথা নেই। আর আমরা সহীহ আকীদাপন্থীরা এটাই দাবি করছি যে আম্বিয়া (আ:), সিদ্দিকীন (রহ:), শুহাদা (রহ:) এবং সোয়ালেহীন (রহ:)-বৃন্দ রূহানী তথা আত্মিকভাবে জীবিত। তাছাড়া, মহানবী (দ:) আদেশ দিয়েছেন, ”মুতূ কাবলা আন তামুতু” - “তোমাদের (নফসের) মৃত্যুর আগে মৃত্যু বরণ করো!” বুযূর্গানে দ্বীনের যে রূহানী মৃত্যু নেই, তার প্রমাণ হলো সূরা বাকারার ১৫৪ নং আয়াত; এরশাদ হয়েছে, “আল্লাহর রাস্তায় (জ্বেহাদে) যারা কোরবানি হয়ে গিয়েছেন, তাঁদেরকে তোমরা ’মৃত’ বলো না, বরঞ্চ তাঁরা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে অক্ষম।” লক্ষ্য করুন, আল্লাহর রাস্তায় জ্বেহাদ ২ প্রকার: ১/ জ্বেহাদে আসগর বা ছোট জ্বেহাদ যা দ্বীনের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে করা হয়; এবং ২/ জ্বেহাদে আকবর, যা নিজের নফসের বিরুদ্ধে করতে হয়। মহানবী (দ:) কোনো এক জ্বেহাদশেষে ফিরে এসে এ প্রসঙ্গে বলেন, ”ছোট জ্বেহাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করলাম বড় জ্বেহাদের দিকে।” বুযূর্গানে দ্বীন তাঁদের সারা জীবন এই বড় জ্বেহাদে অংশগ্রহণ করে থাকেন। তাই তাঁরাও শহীদানের মতোই এই আয়াতের বিষয়বস্তু হন। এখন দেখুন, আল্লাহ নিষেধ করছেন তাঁদেরকে ‘মৃত’ বলতে, যেমনিভাবে নিষেধ করা হয়েছে হারাম সংঘটন, ঘুষ গ্রহণ, সুদ লেন-দেন, অপরের জান-মাল হরণ ইত্যাদি। অথচ কী আশ্চর্য! কিছু মুসলমান আল্লাহর এই নিষেধাজ্ঞা না মেনে ওই সকল বুযূর্গকে বলছেন ‘মৃত’। আলোচ্য আয়াতে করীমায় আল্লাহ এর গুরুত্ব বোঝাতে আরও যোগ করেন ”বরঞ্চ (বাল) তাঁরা জীবিত (অর্থাৎ, তাঁরা আসলেই জীবিত), কিন্তু (লাকিন) তোমরা তা উপলব্ধি করতে অক্ষম।” এই যে তিনি জোর তাকিদ দিতে ‘বরঞ্চ’ ও ‘কিন্তু’ শব্দগুলো ব্যবহার করলেন, এরই মধ্যে তাঁর ভেদের রহস্য নিহিত রয়েছে। তিনি কী সত্য বলেছেন - ‘তোমরা তা উপলব্ধি করতে অক্ষম’! আমরা মোমেন মুসলমান সমাজ এটা উপলব্ধি না করতে পারলেও এতে বিশ্বাস করি। যারা বিশ্বাস করবে না, তারা ঈমানদার হিসেবে আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না।